Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

"বিশ্ব নৌদিবস-২০২০" এর আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি অনলাইনে বক্তব্য রাখেন । নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ২৪/০৯/২০২০ বিআইডব্লিউটিএ ভবনের ‘মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে’ এটি আয়োজিত হয় ।


প্রকাশন তারিখ : 2020-09-24

 

‘বিশ্ব নৌদিবস- ২০২০’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী--দেশীয় উদ্যোক্তাদের ব্লু ইকোনমি নিয়ে কাজ করার প্রস্তুতি নিতে আহবান

 

ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর; 

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী নৌপথ নিশ্চিত করতে নৌ-সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি, দক্ষ ও চৌকস নাবিক তৈরি করতে নৌ-শিক্ষার আধুনিকায়ন, নদী দূষণ ও দখল করা থেকে বিরত থাকা ও রাখা নিশ্চিত করতে হবে। নৌপথকে আরো জনপ্রিয়, আরামপ্রদ ও সাশ্রয়ী করতে পারলে সড়ক ব্যবস্থার উত্তম বিকল্প হিসাবে নৌপথ বিশেষ গুরুত্ব পাবে। নৌপথে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় মতিঝিলস্থ বিআইডব্লিউটিএ ভবনে ‘বিশ্ব নৌদিবস- ২০২০’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনলাইনে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

 

‘বিশ্ব নৌদিবস- ২০২০’ উপলক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) যৌথভাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে। ‘টেকসই নৌপরিবহন টেকসই বিশ্ব’ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে এবছর বিশ্ব নৌদিবস পালিত হচ্ছে।  বিশ্ব নৌ সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত ২৪ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব নৌদিবস’ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে। 

 

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এ জেড এম জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ি কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি মোবাইলে ফোনে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বক্তব্য রাখেন। 

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে নৌখাতের উন্নয়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন; যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান রয়েছে। নদী খননের উদ্দেশ্যে গত ১০ বছরে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জন্য আমদানি করা হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ড্রেজার এবং সহায়ক জলযানসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। এসব ড্রেজারের সাহায্যে নদী খনন ও পলি অপসারণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই নদীমাতৃক বাংলাদেশের উন্নয়নে নৌপথকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌপরিবহন পরিদপ্তর গঠন করেন যা বর্তমানে অধিদপ্তরে রূপলাভ করেছে। অধিদপ্তরের কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে নতুন নতুন পদ সৃজন করে নতুন নিয়োগবিধি প্রণয়নের কাজ চলমান আছে। সরকারি সেবা আরো সহজ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে অনলাইন কার্যক্রমের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি সরকারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের সেবাকে আরো সহজ ও জনমুখি করবে।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশেই উচ্চতর মেরিটাইম শিক্ষা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে যুগোপযোগী পাঠক্রমের মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক মানের নাবিক ও নৌ সংশ্লিষ্ট দক্ষ জনবল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মেরিন একাডেমীর পাশাপাশি দেশের সিলেট, বরিশাল, পাবনা এবং রংপুর এই ৪টি অঞ্চলে আরো ৪টি মেরিন একাডেমী কার্যক্রম শুরু করেছে যার মাধ্যমে নৌ খাতে আরো দক্ষ জনবল বৃদ্ধি পাবে।   

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসীমাবেষ্টিত হওয়ায় সুনীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) অপার সম্ভাবনা ও ভূরাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। নৌপথ ও সমুদ্র অর্থনীতি আমাদের অন্যতম শক্তিশালী উৎস হিসাবে অচিরেই আত্মপ্রকাশ করবে । সুনীল অর্থনীতি পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে আমাদেরকে কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে একটি সবল নীতি কাঠামো গঠন করা প্রয়োজন। এই কাজ সম্পাদনের জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে বিনিয়োগের বেশিরভাগই আসতে হবে বেসরকারি খাত থেকে। সুনীল অর্থনীতিতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য যথোপযুক্ত প্রণোদনা ও নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিমালা গ্রহণ করা হবে। নতুন জ্ঞান, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ আনার জন্য সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের ভূমিকা বিস্তৃত করা হবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের ব্লু ইকোনমি নিয়ে কাজ করার প্রস্তুতি নিতে  তিনি আহবান জানান।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি অর্থাৎ জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে যা বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ১৯৭৩ সালে ছিল মাত্র ১২০ মার্কিন ডলার। আমাদের উন্নয়নকে বারবার বাধাপ্রাপ্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা তা কাটিয়ে উঠছি যা দেশবাসীর কাছে দৃশ্যমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নপুরুষ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে ভর করে আমরা আমাদের রুপকল্পগুলো বাস্তবায়নে জোর কদমে অগ্রসর হচ্ছি ।